Tiger 3 Movie Review in Bengali টাইগার ৩ মুভি রিভিউ

Tiger 3 Movie Review in Bengali

আজকে কথা হবে টাইগার থ্রি সিনেমার বাংলা রিভিউ (Tiger 3 Movie Review in Bengali) নিয়ে। Tiger 3 নিয়ে আমার এক্সপেকটেশন অনেক অনেক হাই ছিল এবং যে রকম এই ছবির ক্যামিও নিয়ে শুনছিলাম। "এক থা টাইগার" হোক বা "টাইগার জিন্দা হে" দুটো ছবি কিন্তু পাঠান এর থেকে বেটার সিনেমা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে।

টাইগার ৩ মুভির গল্প (Tiger 3 Movie Story)

ছবির গল্পটা একটু করে বলবো। এখানে টাইগার এবং জোয়া, গোপী একটা হিন্ট দিচ্ছে। এই দুজন এবার ফেস করছে ইমরান হাশমির ক্যারেক্টার টা কে। ইমরান হাশমি কেন এদের পিছনে পড়ে রয়েছে তার পিছনে একটা গল্প রয়েছে। এবার  টাইগারের টিমের সেখানে টাইগারকে বাঁচাতে কে কে আসছে,

টাইগারের টিমের উপর কি অভিযোগ আসছে এবং টাইগার কি পারবে এই মিশন সম্পূর্ণ করতে? এর থেকে বেশি জানতে হলে তোমাকে নিকটবর্তী সিনেমা হলে গিয়ে ছবিটা দেখতে হবে।

টাইগার ৩ মুভির ভালো দিক (Tiger 3 Movie Pros)

এই ছবির কিছু পজিটিভ দিক রয়েছে যেমন অ্যাকশন সিকোয়েন্স, ইমরান হাসমির অভিনয়, সলমন খান এবং ক্যাটরিনা কাইফ ইত্যাদি।

1. অ্যাকশন সিকোয়েন্স (Action Sequence)

প্রথম পজিটিভ দিক হচ্ছে এই ছবির অ্যাকশন সিকোয়েন্স। এই ছবির অ্যাকশন সিকোয়েন্স এর আগে "পাঠান" - এ যে রকম ভাবে অ্যাকশন সিক্যুয়েন্স এসেছে তার থেকে কিছু কিছু জায়গা অনেক বেটার এবং এই ছবির ভিএফএক্স দুর্বল নয় কোন দিক থেকে। ছবির অ্যাকশন সিকোয়েন্সে মজা আসে এবং সেকেন্ড হাফে

মূলত অ্যাকশন সিকোয়েন্সগুলো খুব পাওয়ারপ্যাকড। সেখানকার সেট পিস গুল ভিসুয়ালি স্টানিং। এবং তারা কিছু কিছু জায়গায় যেরকম ভাবে সেগুলো ডিজাইন করেছে দেখলে কিন্তু সত্যিই মজা আসে। একদম ফাইন্যাল যে অ্যাকশন সিকোয়েন্স যেখানে যেরকম রেড লাইট এর মধ্যে ডিজাইন করেছে।

আমার তো সেটা খুবই ভালো লেগেছে এবং ওই ব্রিজের মধ্যে অ্যাকশন সিকোয়েন্স টা সেখানে হেলিকপ্টার, যা যা যাবতীয় জিনিসপত্র হবে সেটা সত্যিই চমকপ্রদ এবং ফার্স্ট হাফে বাইকের পোরশন রয়েছে সেটা খুব বড় পোরশন নয়৷ তবে সেখানেও মজা আছে। তো ছবির অ্যাকশন সিকোয়েন্স যারা অ্যাকশন ল্যাবের তাদের জন্য খুব কার্যকরী হবে।

2. ইমরান হাসমি (Imran Hashmi)

ছবির দ্বিতীয় পজেটিভ দিক হচ্ছে এখানে ইমরান হাসমি। আমি আগেই বলেছিলাম ইমরানকে ভালো করে প্রেজেন্ট করা হোক। ইমরান জাস্ট ফাটিয়ে দিয়েছে তাঁর ডায়ালগ ডেলিভারি হোক, এক্সপ্রেশন হোক, ইন্ট্রোডাকশন হোক বা একদম এমন জায়গা যেখানে তাঁকে ভেঙে পড়তে হবে কিন্তু সেখানে তাঁর যেরকম

অ্যাক্টিভিটিজ তার অ্যাটিটিউডটাই সেরা। ইমরান হচ্ছে স্পাই ইউনিভার্সের বেস্ট ভিলেন।

3. সলমন খান এবং ক্যাটরিনা কাইফ (Salman Khan and Katrina Kaif)

যদি এখানে সলমন খান এবং ক্যাটরিনা কাইফের কথা বলি। এখানে ক্যাটরিনা ঠিকঠাক কাজ করছে। অনেকে তার টাওাল ফাইট সিকোয়েন্স  দেখার জন্য যাবে, সেটা মোটামুটি মজা পাবে। যদি সলমন খানের কথা বলি সলমন খান সে একা একটা ছবি পুল অফ করে দিতে পারে তাঁর অ্যাটিটিউড এ।

এখানে তাঁর অ্যাটিটিউড, অ্যাকশন সিকোয়েন্স। তার ইমোশনাল পোরশন গুলো খুব ভাল লাগে। মূলত সেকেন্ড হাফে এই ক্যারেক্টারটা অনেক বেটার ওয়ে তে বেরোয়। সলমন খানকে আমার এখানে খুব ভালো লাগে। একটা জায়গা রয়েছে যেটাকে পুরোপুরি বোল্ট এ শুট করা হয়েছে।

পুরো স্পিড রাম্প - একজন তাঁকে মারতে আসছে, সে একটা কোন বস্তু দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করছে, তাঁর হাতে শটগান টানছে, অন্য জনকে গুলি মারছে, এরকম করে তিন চারজনের সঙ্গে ফাইট সিকোয়েন্স। কিন্তু সেটা পুরোপুরি হচ্ছে স্লোমোশন এ। সেখানে ফাস্ট হয়ে স্লো হচ্ছে না।

পুরোটাই স্পিড র‍্যাম্প এর স্লো তে চলছে। সেই পরিমাণটা খুব ভালো। যে জায়গাগুলোয় তাঁকে এন্ট্রিওয়াইজ ডিজাইন করা হয়েছে, যেমন তার ইন্ট্রোডাকশন টা, ইন্টারমিশনের ব্লকটা বা সেকেন্ডে হাফের অনেকগুলো জায়গা রয়েছে সেখানে সে বেশ বেশ ভালো।

4. ক্যামিও (Chemeo)

এর পরে যদি কথা বলি ক্যামিও নিয়ে। তোমরা ক্যামিওতে ব্যাপক মজা পেতে চলেছ। এখানে শাহরুখ খানের ক্যামিও থাকবে আমরা জানি পাঠান এর। সেটা ৫/১০ মিনিটের নেই এবং সেখানে মজা রয়েছে এবং সেটাকে একটা আইকনিক ছবির একটা সিক্যোয়েন্সে সাথে সাদৃশ্য রেখে বানানো হয়েছে সেখানে জাস্ট তোমরা মজা পাবে। ছবিটা সেকেন্ড হাফে অনেকটা বেটার হয়ে যায়।

ছবির স্ক্রিন প্লে সেকেন্ড হাফে বেটার হয়, আমরা সেকেন্ড হাফে পরিচালনা বেটার মনে করি । সেকেন্ড হাফে যেহেতু এই কেমিও থেকে শুরু করে অ্যাকশন সেট পিস থেকে শুরু করে ক্যারেক্টার বদলে যাওয়া থেকে শুরু করে ছোট ছোট ট্যুইস্ট গুলো আছে এবং টিমটা একত্রিত হয় সেকেন্ড হাফ এ। তো সেকেন্ড হাফটা বেটার। সেখানে রাইটিং বেটার, স্ক্রিন প্লে লেবেলে সেখানে ডায়ালগ ইত্যাদি ভালো।

টাইগার ৩ মুভির খারাপ দিক (Tiger 3 Movie Cons)

এই ছবির কিছু নেগেটিভ দিক ও রয়েছে সেগুলি হল পাঠান ছবির সাথে মিল, বোরিং ছবির ফার্স্ট হাফ, পাওয়ারফুল ডায়লগ এর কমতি, নিম্নমানের ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ইত্যাদি।

1. পাঠান ছবির সাথে মিল (Similar Scene to the movie Pathan)

ছবির প্রথম নেগেটিভ দিক হচ্ছে এই ছবির সাথে পাঠান ছবির কিছু বড় মিল রয়েছে। যেগুলো তুমি যখন ছবিটা দেখার পর ঠান্ডা মাথায় ভাববে, তোমার খুব বড় মিল আছে বলে মনে হবে। কারণ তুমি ওয়ার এর সাথে এক থা টাইগার বা টাইগার জিন্দা হে এর কোন মিল পাচ্ছ না।

কিন্তু এরকম ভাবে পাঠান এর সাথে মিল যেটা আমি একদমই আশা করতে পারিনি। পাঠানের সাথে এরকম ভাবে টাইগার ৩ এর প্লট এর এরকম পয়েন্ট মিলে যাওয়া আমার একদম ভাল লাগেনি।

2. বোরিং ছবির ফার্স্ট হাফ (Boaring 1st Half)

ফার্স্ট হাফ টা ছবিটা জাস্ট ফ্ল্যাট চলছে। ফার্স্ট হাফ এর মধ্যে সেরকম বিল্ড আপ নেই। সেরকম ক্যারেক্টারাইজেশন নেই। ফার্স্ট হাফে গল্প সেরকম ভাবে এগোয় না এবং ফার্স্ট হাফে স্ক্রিনপ্লে টা যেন খুব ল্যাদ খেয়ে রয়েছে। ফার্স্ট হাফে যেখানে ছবিটা খুব পোক্ত হতে হত সেটা দাঁড় করাতে পারেনি ছবির পরিচালক। এই ছবিটা সলমন খানের ছবি।

সেখানে অন্যান্য কেমিউস, অন্যান্য এন্ট্রি, সেগুলোকে বেটার ডিজাইন করা। এটা মানা যায়? মানে আমি কিন্তু টাইগারের  যথেষ্ট বড় ভক্ত। কিন্তু সেখানে টাইগারের এন্ট্রি হচ্ছে ওরকম ভাবে? তারপরে অ্যাকশন সিকোয়েন্স, যখন সে বাইকে চাপল সেই অ্যাকশন এর মধ্যে কোনও মজা নেই। টাইগারের এখানে ব্যাপক ইন্ট্রোডাকশন দরকার ছিল।

এই ছবিতে প্রপার এক্সপোজার যেটা আলি আব্বাস জাফার দিয়েছে টাইগার জিন্দা হে তে, যেটা এক থা টাইগার এ কবির খান দিয়েছে। সেটা এখানে পায় না। এই ছবিটা সলমন খানের ছবি, এটা কেমিউস এর ছবি না। সেই প্রথম মানুষ যার জন্য এই পুরো ফ্র্যাঞ্চাইজি, ওয়াইআরএফের এই স্পাই ইউনিভার্স শুরু হয়েছে।

3. পাওয়ারফুল ডায়লগ এর কমতি (Lack of Powerful Dialoges)

ছবিতে সেরকম কোনও পাওয়ারফুল ডায়লগস নেই। মানে যেটা খুব বড় করে আফসোস। ছবির সেকেন্ড হাফে দু একটা তাও আছে। কিন্তু ফার্স্ট হাফে সে রকম কোন ডায়ালগ নেই।

4. নিম্নমানের ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর  (Poor Background Score)

মিউজিক ভাল ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ছবির খুব ভাল। তবে টাইগারের যে আইকনিক ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর টা সেটাকে খুব ভালোভাবে করতে পারেনি। টাইগার থ্রি আমার মোটামুটি লেগেছে। ছবিটা থেকে অনেক অনেক বেশি এক্সপেকটেশন ছিল।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url