অর্থ সঞ্চয় করার সেরা 8 টি উপায়
অর্থ সঞ্চয় করার উপায় গুলি নিচে দেওয়া হল:
দৈনন্দিন জীবনে অতিবাহক করতে অর্থের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমান দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি যে পরিমাণ প্রবণতা তাতে টাকা সঞ্চয় করা দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে। জলের মতো বেরিয়ে যাচ্ছে আমাদের সঞ্চিত টাকা আজ আমরা আলোচনা করতে চলেছি কিভাবে সঞ্চয় করা যায় আমাদের অর্জিত টাকা। কিছু নিয়ম মেনে চললে এটি করা সম্ভব। আসুন তা জেনে নেওয়া যাক।
১) স্বল্প আয় থেকেও সঞ্চয় করা যায় টাকার। প্রত্যেক মাসে কখন কোথায় কিভাবে টাকা খরচ হচ্ছে তার একটা স্পষ্ট ধারণা রাখা প্রয়োজন। যে সমস্ত ক্ষেত্রে অযথা টাকা ব্যয় হচ্ছে সেগুলি অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
২) মাসের শুরুতেই যদি এই ধারণাটি স্পষ্ট ভাবে মনের ভেতর করে রাখা যায়, তবে আপনি টাকা সঞ্চয় উপায় বের করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে নিজেই তৈরি করতে হবে বাজেট নীতি।
৩) প্রত্যেক মাসে আপনি একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা জমানোর সিদ্ধান্ত নিন। সেটি শুরুর দিকে অল্পই হোক আস্তে আস্তে দেখবেন এটি আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে এবং সঞ্চিত টাকার যে আনন্দ তা আপনাকে এর অংক বাড়াতে সাহায্য করছে।
৪) মাসের শুরুতেই আমাদের হাতে যখন মাইনের বা কোন লগ্নির মোটা অংকের টাকা আসে তখন আমরা হঠাৎ করে বেহিসাবি হয়ে যায় সেখান থেকে আমাদের নিজেদেরকে সংশোধন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আয় থেকে সঞ্চয় করার প্রধান চাবিকাঠি হল বেহিসাবি খরচ করার বন্ধ।
৫) আমাদের প্রয়োজনে অনেক জিনিস কিনতে হয় সেগুলিকে আমাদের বিনিয়োগ হিসেবে ধরতে হবে কোন জিনিস কেনার আগে মাথায় রাখতে হবে যে আমরা সেই জিনিসটা কিনে কতটা লাভ করতে পারছি। অনেকে মনে করে সস্তায় জিনিস কিনলে অনেক পরিমাণ জিনিস পাওয়া যেতে পারে কিন্তু তা ভবিষ্যতের জন্য একদম উপযুক্ত নয়। আপনি যদি মাথায় রাখেন আপনাকে সঞ্চয় করতে হবে সেক্ষেত্রে আপনি এমন জিনিস বিবেচনা করে কিনুন যা থেকে আপনার সঞ্চয়ের হার বাড়তে পারে।
৬) সঞ্চয় এর ক্ষেত্রে প্রধান বাধার কারণ হলো ঋণ। ঋণের বোঝা না কমাতে পারলে ভবিষ্যতের জন্য মোটা অংকের টাকা আপনি কোনদিনই সঞ্চয় করতে পারবেন না। দীর্ঘ মেয়াদী যে সমস্ত ঋণ রয়েছে সেগুলি ধীরে ধীরে কমানোর চেষ্টা করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
৭) মাসের শুরুতে প্রধান চিন্তার কারণ হয়ে ওঠে বিল। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের বেশ কিছু অংকের টাকা বিল হিসাবে দিতে হয় যেমন মোবাইলের বিল ইলেকট্রিক বিল, টিভির কানেকশনের বিল। সেক্ষেত্রে নিজেকে সংযত করা অত্যন্ত প্রয়োজন আমরা যদি হিসাব করে বিদ্যুৎ ফোন ইত্যাদি ব্যবহার করি তবে বিলের এই বোঝাটা বেশ কিছুটা কমানো সম্ভব।
৮) যে টাকা সঞ্চয় করা যাবে তা কোন সংস্থায় বিনিয়োগ করার চিন্তাভাবনা করলে এর পরিমাণ বেশ কিছুটা বাড়তে পারে প্রাপ্ত সুদের কারণে। বিনিয়োগ করার পূর্বে জেনে নেওয়া প্রয়োজন কোথা থেকে আপনি কত সুদ পেতে পারেন এবং সেটি কতটা লাভবান। আমাদের ভারতীয় পোস্ট অফিস এবং বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ব্যাংকে আপনি আপনার সঞ্চিত টাকা নিশ্চিন্তে রাখতে পারেন ভালো রিটার্ন এর আশায়। এক্ষেত্রে সঞ্চয় করার একটা প্রবণতা আমাদের বেড়েই যায়।